দরিদ্র মানুষের পুষ্টি ও প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে জয়পুরহাটে অভিনব উদ্যোগ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
দরিদ্র মানুষের পুষ্টি ও প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে জয়পুরহাটে অভিনব উদ্যোগ
জয়পুরহাট, ১৯ অক্টোবর ২০২২
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষ পুরো একটি হাঁস-মুরগি অনেক সময়ই ক্রয় করতে পারে না। বাংলাদেশের বাজারে একজন মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী অর্ধেক মুরগি বা ২০০-২৫০ গ্রাম মাংস বেচাকেনার প্রচলন নেই। অপুষ্টির ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও প্রাণিজ আমিষের প্রাপ্যতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পিকেএসএফ বেসরকারি সংস্থা ‘জাকস ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে জয়পুরহাটের দুর্গাদহ গুচ্ছগ্রাম বাজারে ‘প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র’ স্থাপন করেছে।
এ কেন্দ্র থেকে একজন ক্রেতা তার চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো পরিমাণ মাংস কিনতে পারছেন। ‘প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র’-এর মালিক মো: লিটন মিয়া জানান, “এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০০ কেজি মাংস বিক্রি করি। সব খরচ বাদ দিয়ে আমার দৈনিক ১২০০ টাকা মুনাফা হয়”। এই কর্মকাণ্ডের ফলে স্থানীয় দরিদ্র মানুষ তাদের ক্রয় ক্ষমতা অনুযায়ী প্রাণিজ আমিষ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।
আজ এ মাংস বিক্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি, পরিচালনা পর্ষদ সদস্য পারভীন মাহমুদ এবং সিনিয়র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদ। এসময় দোকান মালিক ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলেন তারা।
উদ্যোগটির ফলাফলের ভূয়সী প্রশংসা করে ড. নমিতা হালদার বলেন, “মানব মর্যাদা রক্ষার জন্যই আমরা কাজ করি। কাউকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী যেন আমিষ ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা জোর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা এই কার্যক্রমটি অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে দেশজুড়ে সম্প্রসারণে কাজ করছি”।
জাকস ফাউন্ডেশন ছাড়াও পিকেএসএফ-এর সহযোগী সংস্থা শতফুল বাংলাদেশ, গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র, মমতা, মহিলা বহুমুখী শিক্ষা কেন্দ্র, এহেড সোশ্যাল অর্গানাইজেশন (এসো), নবলোক পরিষদ এবং সেলফ হেল্প এন্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র’ স্থাপন করেছে; যা ইতোমধ্যেই ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
যোগাযোগ:
সাবরীনা সুলতানা, সহকারী ব্যবস্থাপক (যোগাযোগ ও প্রকাশনা), পিকেএসএফ
ফোন: ০১৭৩১ ২৪১৮৫২, ইমেইল: sabrinasultana31@gmail.com